Introduction to Perfumes
Intro to Perfumes
সুগন্ধী জিনিসটা পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, তবে দুর্লভ নয়। আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ কেনো তৈরি হয়, সেটা ট্র্যাকব্যাক করা বেশ কঠিন ই বটে। তবে পারফিউম্যান্সের পেজটা আমার খুব ভালো লাগতো, ওনাদের চটকদার লিখনীর / প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনের কারণে। পরবর্তীতে ২০১৭ এর রমজানে তাদের একটা অনলাইন কম্পিটিশনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ৯ / ১০টা পারফিউম ফ্রী পাই। তখনই প্রথম প্র্যাকটিকালী তাদের সুগন্ধীর সাথে পরিচিত হই। বিভিন্ন সময়ে এরপর থেকে তাদের তালতলার শোরুমে যাওয়া হয়েছে এবং বেশ কিছু সুগন্ধী কেনা হয়েছে।
২ বছর আগে Perfumance হঠাত একটা লিস্ট পাবলিশ করে। নাম ছিলো Perfume Match। ঐ লিস্টে তাদের আতরের সাথে নামীদামী যেসকল পারফিউমের গন্ধ মিলে যায় কাছাকাছি, তাদের ছবিসহ নাম দেওয়া ছিলো। ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে আমার কাছে। তখন একটু ইচ্ছা জাগলো যে, সুগন্ধী জিনিসটা কি সেটা একটু ঘাটাঘাটি করি। বুঝার চেষ্টা করি জিনিসটার মার্কেট আর খোলনলচা। তো সেই হিসেবে পড়ালেখা করলাম বেশ কিছুদিন, প্রচুর ভিডিও ও দেখলাম। অনেক নতুন টার্মিনোলজি শিখলাম, জানলাম অনেক ব্র্যান্ডের নাম ও।
গতকাল বিকালে প্রথমবারের মতে একটা পারফিউম নিজে ব্ল্যান্ড করি। ;) প্রথমবারের ব্ল্যান্ডের আনন্দে রাতে হঠাৎ মনে হলো আচ্ছা, যেহেতু আমার আতর আর পারফিউম দুইটা নিয়াই একটু পড়ালেখা করা হয়েছে, সেটা নিয়ে সহজ বাংলায় কিছু বেসিক বাংলায় লেখা যায় কিনা। বাংলাদেশে এখন প্রচুর সুগন্ধীর ব্র্যান্ড বের হচ্ছে কিন্তু বাংলা ভাষায় এসব নিয়ে লেখাঝোকা একটু কম। ভাবলাম যে খুবই জেনারালাইজড একটা লেখা লেখি যেটা দিসে ইনট্রো পাওয়া যাবে।
পারফিউম কি জিনিস:
একটা উদাহরণ দেই। গোলাপ ফুল থেকে আমরা প্রচুর সুন্দর ঘ্রাণ পাই। গোলাপ থেকে চেপে বা সিদ্ধ করে সেই ঘ্রাণকে একটা সিস্টেমে বোতলবন্দী করা হয়। তারপরে আমরা সেই সিস্টেমটা সেন্ট বা আতর রুপে গায়ে বা জামায় মাখি। এটাই পারফিউম।
সেন্ট আর আতরের পার্থক্য
গোলাপ থেকে যেই সুগন্ধীটা বের করা হয় সেটা সরাসরি ব্যবহার করার উপযোগী থাকে না। তাকে একটা ক্যারিয়ার বা মাধ্যম দিয়ে বোতলজাত করতে হয় যাতে এটা লম্বা সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে এই Career প্রধানত অ্যালকোহল এবং বিভিন্ন ধরণের তেল। যদি সুগন্ধীটার Career হিসেবে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়, তবে সেটা সেন্ট, আর যদি তেল ব্যবহার করা হয় তবে সেটা আতর।
সেন্ট আর আতরের মধ্যে আরো কিছু পার্থক্য আছে। কিন্ত সেই আলাপে যাওয়ার আগে আমাদের আরো কিছু বেসিক জানা লাগবে।
সুগন্ধীর তিন স্তর
গোলাপের যেই কাল্পনিক সুগন্ধীটা আমরা এতোক্ষণ বানানোর চেষ্টা করলাম, সেটা বেশ সুন্দর ঘ্রাণ। পারফিউম্যান্সের এমন একটা ঘ্রান আছে ভারসাচে ইন্টেন্স নামে। তো ঘ্রাণটা খুবই নরমাল। কিন্ত আমরা এখন চাচ্ছি শুধু একটা না কয়েকটা ঘ্রাণ দিয়ে একটা সুগন্ধী বানাতে, যেটা প্রথমে দিবে লেবুল একটা ফ্রেশ ঘ্রাণ, এরপরে কিছুক্ষণ দিবে জেসমিন ফুলের ঘ্রাণ, এরপরে আসবে গোলাপের সুরভী।
জিনিসটা মজার না? একটা আতরে তিন ধরণের ঘ্রাণ!
এই ব্যাপারটার নাম ফরমিউলেশন। এটাই করা হয় এখনকার সুগন্ধীগুলোতে প্রতিনিয়ত।
বিভিন সুগন্ধীগুলোর মধ্যেকার পার্থক্য কিভাবে এই তিন টাইমে ভিন্ন ধরণের ঘ্রাণ দেওয়া হয় তা নিয়ে।
সুগন্ধীর আলাপে এই তিন সময়ের ঘ্রাণের আলাদা টার্মিনোলজী আছে।
টপ নোটস (Top Notes)- আমাদের কাল্পনিক সুগন্ধীর প্রথমবার ফুস করলেই যেটা নাকে এসে লাগে। আমাদের ক্ষেত্রে সেটা লেবু। এটার স্থায়িত্বকাল সবচেয়ে কম।
মিডল নোটস (Middle Notes)- এটার স্থায়িত্ব মধ্যম পর্যায়ের। মোটামুটি ২ ঘন্টা। আমাদের ক্ষেত্রে এখন জেসমিন।
বেজ নোটস (Base Notes)- এর স্থায়িত্বকাল সবচেয়ে বেশী। অনেক ভালো কোম্পানির ক্ষেত্রে এই গন্ধ ১দিনের বেশীও জামায় থেকে যায়। আমাদের ক্ষেত্রে সেটা জেসমিন।
এই জায়গায় আসতেসে সেন্ট আর আতরের বিরাট পার্থক্য।
সাধারণত আতরের ক্ষেত্রে এই ৩ ধরণের নোট বিভিন্ন ধরণের ঘ্রাণ যেটা একটার পর একটা আসবে এই জিনিসটা নিয়ে আসা কঠিন। আতরের ক্ষেত্রে বেজ নোটসের প্রাধান্য শুরু থেকেই বেশী থাকে। হয়তো ২-৩টা বেজ নোটের ঘ্রাণ একত্রে পাওয়া যায়। কিন্তু একটা নোটের পরে একটা নোট ব্যাপারটা পুরোপুরি আসেনা। কিন্ত আতরের ক্ষেত্রে সাধারণত স্থায়িত্বকাল অনেক বেশী। সেই সাথে আতরের ঘ্রাণের তীব্রতা সেন্টের চেয়ে অনেক বেশী। এই কারণে অনেকে আতের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না।
সেন্টের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা বেশ ডায়নামিক। এই জন্যে সেন্টের ক্ষেত্রে প্রতি নোটস এ ভিন্ন ধরণের ২-৩টা গন্ধও পাওয়া যায়। আবার কিছুক্ষণ পরপর নোট ও চেন্জ হয়। তার মানে ৩টা বেজের প্রতিটায় যদি দুই ধরণের ঘ্রাণ থাকে, তাহলে টোটাল ৬ ধরণের ঘ্রাণ!
এই হলো সাদামাটা পার্থক্য আর সুগন্ধীর বেসিক। এবারের আসি আরেকটু উপরের স্টেজে।
যেহেতু একটা সুগন্ধীতে এমনকি ৬টা ভিন্ন ধরণে ঘ্রাণ ও থাকতে পারে, তাহলে এই সিরিয়ালটা মেইনটেইন কিভাবে করা যায়? আমি চাইলেই কি পারবো একটা সুগন্ধীকে যখন ইচ্ছা সিরিয়ালে আনতে?
না পারবোনা। জিনিসটা তো লিকুইড, কম্পিউটারের প্রোগ্রাম না যে একটার পরে একটা এক্টিভ হবে।
এগুলো জটিল কেমিস্ট্রির আলাপ, কিন্ত ঐদিকে যাবোনা।
ব্যাপারটা এমন যে, প্রতিটা গন্ধের নির্দিষ্ট কিছু টাইমফ্রেম আছে। যার বেশী ঐ গন্ধটা থাকবেই না।
কিছু গন্ধ ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে হাওয়া হয়ে যায়। যেমন লেবু, মিন্ট, কমলা। এই ধরণের ঘ্রাণগুলো সাধারণত টপ নোটস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
কিছু গন্ধের স্থায়িত্ব ১-৩ ঘন্টার মতো। এই ধরণের ঘ্রাণগুলো আসে মিডল নোটস হিসেবে। যেমন জেসমিন, দারচিনি, এলাচির ঘ্রাণ।
কিছু গন্ধের স্থায়িত্ব ৪ঘন্টার বেশী। এই ধরণের গন্ধগুলো থাকে বেজ নোটস হিসেবে। যেমন গোলাপ, লেদার, ওউদ, আগর।
সুগন্ধীর ঘনত্ব আর দাম
এই নোটগুলো কতক্ষণ থাকবে তা আবার নির্ভর করে তার আরো একটা নির্ধারক আছে। সেটা হলো আতরে / সেন্টে আসলে সুগন্ধীর পরিমাণ কতটুকু?
আমরা যেই আতর বা সেন্ট লাগাই তার পুরোটাই ঐ সুগন্ধী না। এর সাথে এলকোহল বা তেলের মিশ্রণে আসলে সুগন্ধীর পরিমাণ কতটুকু তার উপরেও ভিত্তি করে একটা সুগন্ধী কতক্ষণ স্থায়ী হবে। তার সাথে দামের ও কমবেশী হয়।
Body Spray - ১-২% সুগন্ধী বাকি ৯৮-৯৯% অ্যালকোহল। সাধারণত সবচেয়ে সস্তা।
EDT - ৫-১৫% সুগন্ধী বাকি ৯৫-৮৫% অ্যালকোহল। একটু দামী।
EDP - ১৫-২০% সুগন্ধী বাকি ৮৫-৮০% অ্যালকোহল। আরো দামী।
Parfum - ২০-৪০% ই সুগন্ধী! সবচেয়ে দামী।
উপরের আলোচনা থেকে এটুকু বুঝা গেলো যে, সুগন্ধীর ঘনত্ব যত বেশী, ক্যারিয়ারের পরিমাণ যত কম, সাধারণত সেই পারফিউমের স্তায়িত্ব তত বেশী, দাম ও তত বেশী।
পারফিউম নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের নাম Fragrantica.com. এই ওয়েবসাইটে প্রায় ১৬০০ এর উপরে গন্ধের নোটের নাম আছে। আমাদের পরিচিত ফল আম, কাঠাল, তরমুজের নাম ও এই লিস্টে আছে। এবং, জ্বী আম-কাঠালের গন্ধযুক্ত পারফিউম ও আছে দুনিয়াতে।
তার মানে আন্দাজ করতে পারছেন কত বিভিন্ন রকমের পারফিউম পসিবল! এতগুলো গন্ধ দিয়ে কত রকমের সুগন্ধী বানানো যায়, ভাবুন! এই পরিমাণ বৈচিত্রতা বছরে কমপক্ষে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট সারা দুনিয়াতে আতর / পারফিউম এর তৈরি করেছে। তার মানে প্রচুর পরিমাণে সুগন্ধী তৈরি হয় প্রতি বছর!
কিন্ত এই এতো পরিমাণে সুগন্ধী প্রকৃতি থেকে আসেনা - বেশীরভাগই সিন্থ্যাটিক ক্যামিকেল।
একদম এক্জাক্ট নাম্বার পাওয়া কঠিন হলেও, বর্তমান বাজারের ৮৫-৯৫% পারফিউম ওয়েল বা ফুসফুস সেন্ট ই সিন্থেটিক ক্যামিকেল।
এর কারণ একদম সহজ। ১ কেজি জেসমিন ফুলের সুগন্ধী বের করতে প্রয়োজন হয় প্রায় ১০০০ কেজি জেসমিন ফুল। আর প্রতি কেজি ফুলে থাকে প্রায় ৫০০০টা ফুল। তার মানে ১ কেজি জেসমিন সুগন্ধী বের করতে প্রয়োজন প্রায় ৫০০০ * ১০০০ = ৫,০০০,০০০ (৫০ লক্ষ) ফুল। এতো ফুল পাবেন কোথায়!
সিন্থেটিক ক্যামিকেলের আগে তাহলে মানুষ কি আতর ব্যবহার করেন নাই? অবশ্যই করেছেন। তারা আসল নির্জাস থেকে বানানো আতরই ব্যবহার করেছেন। কিন্ত এখন পৃথিবীর জনসংখ্যা ৮০০ কোটির উপরে, কিন্ত জমিতে উৎপন্ন Material দিয়ে বর্তমান ৪৮ বিলিয়ন ডলারের যেই চাহিদা, সেটা মেটানো সম্ভব না। এইজন্যে এতো বেশী সিন্থেটিক।
কিন্ত সিন্থেটিক মানেই কি খারাপ?ভালো কোয়ালিটির সিন্থেটিক যেমন আছে, তেমন খারাপ ও আছে।
কেমন কোয়ালিটির অ্যালকোহল, আতর ওয়েলের সাথে কেমন কোয়ালিটির সুগন্ধী মিক্স করা হচ্ছে তার উপরে পারফিউমের দাম ওঠা-নামা করে। কেবল পারফিউমেন্সের সাথে যদি উদাহরণ দেই, ওনাদের সাড়ে ৪ মিলি ১৬০টাকায় পাওয়া যায় এমন পারফিউম যেমন আছে, ঠিক তেমনি ৩ মিলি এর দাম ১৩০০টাকা+ এমন ও আছে।
ঠিক তেমনি সেন্টের ক্ষেত্রেও ৩০০ টাকার বডি স্প্রে থেকে লাখ টাকা দামের স্প্রে সেন্ট ও আছে।
পারফিউমের বাংলাদেশের লোকাল মার্কেট পুরোপুরিই আমদানী নির্ভর। আতর বলেন বা সেন্ট প্রতিটা কেমিকেল বাইরে থেকে আমদানী হয়। এমনকি কাচের বোতলগুলো পর্যন্ত। ঢাকার মিটফোর্ড এলাকা প্রধানত পারফিউমের আতরঘর। লোকাল যেসকল ব্র্যান্ড বাজারে পারফিউম বিক্রি করছে বিভিন্ন নামে, তারা মূলত এখান থেকে সোর্স করেই বিভিন্ন পারফিউম নিজেদের পছন্দের নামে বিক্রি করেন। কিছু কিছু লোকাল ব্র্যান্ড হয়তো নিজেরা কিছু গন্ধ আমদানী করেন, কিন্ত তার পরিমাণ খুব কম। আবার কিছু Inspired fragrance, Perfumance, Perfume Lounge এর মতো লোকাল কিছু ব্র্যান্ড নিজেরা কিছু ইউনিক গন্ধ বের করার চেষ্টা করছেন, কিন্ত তাও এই কমন সোর্সের ম্যাটেরিয়াল থেকেই।
যারা পারফিউম নিয়ে কাজ করেন, অর্থাৎ পারফিউম নিজেরা বানান, বিভিন্ন ধরণের সুগন্ধী মিক্স করেন, তারা খুব সহজেই একটা পারফিউমের গন্ধ শুঁকে সেই পারফিউমে কি কি কমন সুগন্ধী ব্যবহার করা হচ্ছে তা বের করে ফেলতে পারেন। এই কারণে পারফিউমের ক্ষেত্রে নোটসগুলো লুকিয়ে ফেলার কোন ব্যাপার নাই, আর ন
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বাইরের ব্যান্ডের প্রচুর পারফিউম ও বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম ৩০০০ থেকে শুরু হয়ে ৪০০০০ পার হয়ে যায়। গত কয়েক বছরে দুবাই ভিত্তিক বেশ কিছু পারফিউম ব্র্যান্ড বেশ পপুলার হয়েছে। এসকল ব্র্যান্ড ২০০০০ টাকার ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ডগুলোর দামে কম মানে ভালো টাইপের পারফিউম ৩০০০ টাকার আশেপাশে বাজারে নিয়ে এসেছে। তাই গোটা সাউথ ইস্ট এশিয়াতে এই দুবাই ভিত্তিক ব্র্যান্ডগুলো অনেক ভালো করছে।
পারফিউমের ব্যবহার
সময়ের সাথে মানুষের সব ধরণের রুচির যেমন পরিবর্তন হয়, কি ধরণের ঘ্রাণ ভালো লাগে সেই রুচিও পরিবর্তন হয়। যেমন আগে আমার কাছে সবময় ফ্রেশ-এনার্জেটিক ভাইবের পারফিউম ভালো লাগতো। এখন সেখানে একটু ঝাঁঝালো, একটু মিষ্টি টাইপের গন্ধ ভালো লাগে। ফ্রেশ এখনো ভালো লাগে, কিন্ত বেশ অনেক ধরণের গন্ধের ধরণ টেস্ট করার কারণে এখন রুচির কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
সেই সাথে মৌসুম অনুসারেও পারফিউমের স্থায়িত্বকাল নির্ভর করে এবং একেক ধরণের পারফিউম একেক মৌসুমে একেক রকম লাগে। যেমন বাংলাদেশে বেশীরভাগ সময় গরম থাকায়, এখানে ফ্রেশ-এনার্জেটিক পারফিউম বেদম চলে। ভারী মসলাদারী পারফিউম একটু কম ই ব্যবহার হয়। বৃষ্টির সময়ে একটু শ্যাওলার মতো, ভেজা ভেজা ঘ্রাণ ভালো লাগে। আবার শীতে কুয়াশাচ্ছন্ন সময়ে একটু ভারী ঘ্রাণ টা আওহাওয়ার সাথে মানিয়ে যায়।
আমি ব্যক্তিগতভাবে পারফিউম কাপড়ে লাগাতে পছন্দ করি। অনেকে গায়ে মাখেন। ব্যাপারটা পারসোনাল চয়েস। আমার কাছে কাপড়ে দেওয়ার কারণ হলো,
১) কাপড়ে দিলে সুগন্ধীর স্থায়িত্ব থাকে অনেক বেশী
২) যেহেতু জিনিসটা মোস্টলি সিন্থেটিক, আমি সরাসরি স্কিন এ লাগাতে চাইনা। (এলার্জি, স্কিন ক্যান্সার এর চান্স বেড়ে যায়)
পারফিউম কেনার সময় যা খেয়াল রাখবেন
পারফিউমের শখ একটু দামী শখ। সেন্টের ক্ষেত্রে একেকটা পুরো বোতলের দাম ২ হাজার টাকা খুব সহজেই পার হয়ে যায়। আতরের ক্ষেত্রে বেশ দামী ব্র্য
অবশ্যই অবশ্যই নিজে না শুঁকে কোন ঘ্রাণ কিনবেন না। ইউটিউবে রিভিউ দেখেই পারফিউম কিনবেন না। বেশীরভাগ সময়ে তাহলে ডিজএপোয়েন্টেড হবেন। লোকাল ব্র্যান্ডের সেন্টের বেলায় স্পেসিফিক্যালি আমি পার্সোনালি একটু রিজার্ভড। পারলে দুবাই-বেজড কোম্পানি গুলোর পারফিউম কিনতে পারেন।